র্ণিঝড় “আম্পান”মোকাবেলায় বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে “ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি”(সিপিপি)। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি’র সকল সদস্যদের।
আজ সোমাবর সকাল থেকে বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করতে মাইকিং শুরু করা হয়। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে যে কোন ধরণের সহায়তার জন্য বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ১৫০ জন, বরিশাল বিভাগে ২৫ হাজার ৫ জন এবং উপকূলীয় এলাকার ১৩ জেলায় ৫৫ হাজার ২৬০ জন সিপিসি কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মাইকিং এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাংকেতিক পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এবার ঝড়ের সময় সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে আশ্রয়গ্রহনের সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে বলে জানালেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র বরিশাল আঞ্চলিক উপ পরিচালক মোঃ আব্দুর রশীদ।
এর আগে বরিশালে জেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে। বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এদিকে আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বরিশালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
গত দুদিন যাবৎ প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে, রোদের তীব্রতা রয়েছে।