এক লাখ টাকার ঋণে ২ মাসের সুদ মওকুফ

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের এপ্রিল ও মে  মাসের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বিদেশি ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের ঋণ গ্রহীতারা এ সুবিধা পাবেন না। গত ২ মাসের স্থগিত করা ঋণে অন্যান্য ক্ষেত্রে সুদের হার কমানো হয়েছে।

সেক্ষেত্রে এক লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের বিপরীতে বার্ষিক ২ শতাংশ এবং ১০ লাখ টাকার বেশি ঋণে ১ শতাংশ হারে সুদ মওকুফ পাওয়া যাবে।

বুধবার (১০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় সুদ মওকুফের বিষয়ে বলা হয়েছে, ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুদ (ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশ ধরে) ২ শতাংশ  মওকুফ করা হয়েছে।  বাকি ৭ শতাংশ গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে। আর ১০ লাখ টাকা ওপরে ঋণের সুদ ১ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।  বাকি ৮ শতাংশ পরিশোধ করবে। ব্যাংক-গ্রাহক সস্পর্কের ভিত্তিতে সুদ আদায়ের সময় নির্ধারণ করবে।  তবে একজন গ্রাহক ১২ লাখ টাকার বেশি মওকুফ পাবেন না।

এর আগে করোনাভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুই মাস সব ধরনের ঋণের সুদ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আরোপিত সুদ বা মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে’ স্থানান্তর করতে বলা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্লক হিসাবে স্থানান্তরিত ঋণ গ্রহীদের কাছ থেকে কোনো সুদ আদায় করা যাবে না বলে ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল।  এর পরিপ্রেক্ষিতে সুদ আদায়ের হার ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।