রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া বাংলাদেশ সঙ্গীত জগতের স্বঘোষিত ‘বড় মাপের শিল্পী’ মাইনুল আহসান নোবেল। বুক ভরা ভালোবাসা দিয়েই এদেশের শ্রোতারা তাকে গ্রহণ করেছিলেন নোবেল।
কলকাতার একটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের গণ্যমান্য যেসব কিংবদন্তী শিল্পীদের গান কভার করে পরিচিতি পেয়েছিলেন নোবেল, কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়ে ও নিজের ‘তামাশা’ নামক একটি গানের প্রচারণার অংশ হিসেবে সেসব শিল্পীদেরই অপমান করে বাজে মন্তব্য করেন তিনি। তার এই কাজে সমালোচনার ঝড় উঠে পুরো দেশ জুড়ে।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে প্রশাসনের জেরার মুখেও পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে ওই যাত্রায় রক্ষা পান সদ্য জনপ্রিয় হওয়া নোবেল। এবার প্রকাশ হলো এই উঠতি অহংকারী তারকার মৌলিক গান ‘তামাশা’। নোবেলের এই নিম্নমানের গান ও ভিডিও শ্রোতারা ছুঁড়ে ফেলেছেন খুব বাজেভাবে।
মুক্তির ৯ ঘণ্টার মধ্যে ৪ লাখবার দেখা হয়েছে গানটি। কিন্তু আশ্চর্যকর বিষয় হলো এই মুহুর্তে সেই গানে ডিজলাইক ২ লাখের বেশি মানুষ! আর ৩০ হাজারের বেশি মন্তব্যের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই তাকে তিরস্কার করেছেন।
দেশের ইতিহাসে কোনও গানের ক্ষেত্রে ডিজলাইক মানে অপছন্দের নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন নোবেল এমনটাই মনে করছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা করেছেন ত্রিপুরার এক যুবক।
জানা গেছে, ভারতে গেলেই গ্রেপ্তার করা হবে নোবেলকে।