সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে সোমবার রাত ৮টায় আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক আল ইমরান চৌধুরী।
সম্প্রতি, করোনা আক্রান্ত মোহাম্মদ নাসিম স্ট্রোক করলে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকেই তিনি আইসিইউতে আছেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সে অবস্থাতেই আছেন তিনি।
গত শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে বৈঠক করে মোহাম্মদ নাসিমকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত দেয় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
সোমবার রাতে ৭ সদস্যের আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক আল ইমরান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থা আগের মতোই আছে। আমরা এখনও আশাবাদী।
মোহাম্মদ নাসিমের স্বাস্থ্যগত আবস্থা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কিছু গুঞ্জন ছড়ানো হয়েছে। এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। সিরাজগঞ্জ থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন নাসিম।