শিগগিরই শুটিং শুরু হচ্ছে

করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রায় দুই মাস শুটিং বন্ধ আছে ঢালিউডে। এ কারণে অনেক ছবির শুটিং মাঝপথে আটকে গেছে। কোনো কোনো ছবির এক সপ্তাহ শুটিং করলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। নির্মাণাধীন এসব ছবির প্রযোজক ও পরিচালকেরা চাইছেন ছবির কাজ শেষ করার জন্য শিগগিরই শুটিং শুরু করতে।

প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা শুটিংয়ের অনুমতি দিয়ে দেব। জুনের শুরু থেকেই সবকিছু খুলছে। সুতরাং আমরা আর শুটিং আটকে রেখে কী করব! তা ছাড়া অনেক ছবির শুটিং বন্ধ আছে, সেসব ছবির প্রযোজক-পরিচালকেরা কাজ শেষ করতে চান। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কাজ শুরু করতে চাইছেন। এভাবে আর কত দিনই বন্ধ রাখা যাবে? কাজ তো করতে হবে। এমনিতেই ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ। দিনের পর দিন এভাবে বন্ধ থাকলে চোখের সামনেই ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।’

খোরশেদ আলম জানান, সরকারি স্বাস্থ্যবিধিসহ করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচতে সব নিয়মকানুন মেনেই শুটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।


করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রায় দুই মাস শুটিং বন্ধ আছে ঢালিউডে। এ কারণে অনেক ছবির শুটিং মাঝপথে আটকে গেছে। কোনো কোনো ছবির এক সপ্তাহ শুটিং করলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। নির্মাণাধীন এসব ছবির প্রযোজক ও পরিচালকেরা চাইছেন ছবির কাজ শেষ করার জন্য শিগগিরই শুটিং শুরু করতে।

প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা শুটিংয়ের অনুমতি দিয়ে দেব। জুনের শুরু থেকেই সবকিছু খুলছে। সুতরাং আমরা আর শুটিং আটকে রেখে কী করব! তা ছাড়া অনেক ছবির শুটিং বন্ধ আছে, সেসব ছবির প্রযোজক-পরিচালকেরা কাজ শেষ করতে চান। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কাজ শুরু করতে চাইছেন। এভাবে আর কত দিনই বন্ধ রাখা যাবে? কাজ তো করতে হবে। এমনিতেই ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ। দিনের পর দিন এভাবে বন্ধ থাকলে চোখের সামনেই ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।’

খোরশেদ আলম জানান, সরকারি স্বাস্থ্যবিধিসহ করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচতে সব নিয়মকানুন মেনেই শুটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

অপারেশন সুন্দরবন ছবির বেশির ভাগ কাজ শেষ। শুটিং হওয়া অংশটুকুর সম্পাদনার কাজ চলছে এখন। বাকি শুটিং ঢাকাতে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই শুটিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আটকে যায় ছবির ঢাকার অংশের কাজ। এখন বাকি কাজ শেষ করতে চান পরিচালক দীপংকর দীপন। তিনি বলেন, ‘এভাবে মাসের পর মাস বন্ধ থাকলে শুটিং শেষ করতে পারব না। টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনা যাবে না। কিন্তু আমরা তো বসে থাকতে পারি না। আয়-রোজগার সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন করোনাকে মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে।’

কমান্ডো ও বিক্ষোভ নামে দুটি ছবির শুটিং আটকে আছে নির্মাতা শামীম আহমেদের। তিনি শিগগির শুটিং শুরু করতে আগ্রহী। শামীম বলেন, ‘আমার বিক্ষোভ ছবির কাজ প্রায় শেষ। অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। দুই থেকে তিন দিন লাগবে। অনুমতি দিলে এ সপ্তাহেই কাজ শেষ করতে চাই। সামান্য কাজের জন্য পুরো সিনেমা আটকে আছে।’

টেলিভিশন নাটকের শুটিং শুরুর সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আর চলচ্চিত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে এ সপ্তাহেই। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, ‘সব সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। ২ জুন একসঙ্গে বসব। শুটিং শুরু করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শুটিং শুরু করার ঘোষণা দিয়ে দিতে পারি। তবে শুটিং শুরু হলেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিষয়টি মাথায় রেখে ইউনিটকে কাজ করতে হবে। আমরাও তদারকি করব।’

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম বলেন, ‘কাজ না করে এভাবে আর কত দিন বসে থাকবেন সবাই। করোনা যেহেতু যাচ্ছে না, সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ শুরু করে দিতে হবে। এই সেক্টরে বহু মানুষ বেকার বসে বসে কষ্টে দিন যাপন করছেন।’

তবে অনুমতি মিললেও এখনই শুটিং শুরু করে দিচ্ছেন না নির্মাতা রায়হান রাফি। কারণ, সিনেমায় বড় ইউনিট কাজ করে। তাই প্রথম দিকে তিনি পর্যবেক্ষণ করতে চান কীভাবে কাজ হচ্ছে। তারপরই নামবেন শুটিংয়ে। ইত্তেফাক ও পরান ছবি দুটি হাতে আছে তাঁর। রাফি বলেন, ‘এটি সিনেমার শুটিং। চাইলেও অনেক ছোট ইউনিট নিয়ে কাজ করা যাবে না। এ কারণে একটু পর্যবেক্ষণ করব। দেখা গেল শুটিং করতে করতে ইউনিটের একজন করোনায় আক্রান্ত হলেন। নায়ক-নায়িকাসহ বাকিরা কেউই ভয়ে আর শুটিং করবেন না। তাই মাসখানেক দেখব কী অবস্থা দাঁড়ায়।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিনেমার শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।