শুভ জন্মদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

শৈশবেই টলিউডের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান বুম্বাদা। সেই যাত্রা আজও সগৌরবে চলছে। গত ৩৫ বছর ধরে তিনি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সাফল্যের দৌড়ে তিনি এখনও সবার থেকে এগিয়ে। কথা হচ্ছে- টলিউডের অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।

১৯৬২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আজ ৫৮ বছরে পা রাখলেন সবার প্রিয় বুম্বাদা।

ড্রাম বাজাতে জানেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তার বয়স যখন ১২ বছর ছিলো তখন তিনি ‘তুফান মেলোডি’ নামে একটি ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন।

‘আন্ধিয়া’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন প্রসেনজিৎ। ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দুটি পাতা’ ছবির মধ্য দিয়ে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন প্রসেনজিৎ। এছাড়া পিয়ুশ বোসের নির্মিত ‘দুই পৃথিবী’তে (১৯৭০) তরুণ উত্তম কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ। প্রসেনজিৎ অভিনীত ‘অমর সঙ্গী’ ছবিটি টানা ৭৫ সপ্তাহ চলে রেকর্ড গড়েছিলো।

প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা ও শতাব্দীর সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ইন্দ্রানী হালাদারের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ১৬টি এবং রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে ৩৫টি ছবিতে কাজ করেছেন।

‘গানের ওপারে’, ‘আদিত্য’ ও ‘তৃতীয় পুরুষ’-এর মতো টেলিভিশন সিরিজ প্রযোজনা করেছেন অভিনেতা।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমার নাম হলো- প্রতিশোধ, অপরূপা, জীবন মরণ, দাদামণি, পূজারিনী, শত্রু, সোনার সংসার, নীলকন্ঠ, তিল থেকে তাল, লাল মহল, পরিনতি, জীবন, আতঙ্ক, পথভোলা, বর্না, মধুময়, তিনপুরুষ প্রেম বন্ধন, অর্পণ, আপনঘরে, স্পম্রাট ও সুন্দরী, ছন্নছাড়া, জজসাহেব ইত্যাদি।