১১ বছরেও ভাঙেনি গোপনীয়তার সংস্কৃতির শৃংখল

তথ্য অধিকার দিবস ২০২০

অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তথ্য অধিকার আইন আলোর মুখদেখেছে তা প্রায় যুগ ছুইছুই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় এ আইনটি শক্তিশালী হাতিয়ার হওয়ার কথা থাকলেও জনজীবনে তা কতটুকুই ভূমিকা রাখছে? শুধুমাত্র প্রচার ও চর্চার অভাবে রাষ্ট্র-নাগরিক উভয়ই এআইনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বহুদিন ধরে প্রচলিত ‘গোপনীয়তার সংস্কৃতি’ আমাদের দারিদ্র্য ও দুর্নীতিকে উৎসাহ যুগিয়ে আসছে।
অপর দিকে অবাধ তথ্য প্রবাহ আমাদের দারিদ্র্য দুরীকরনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সত্যিকারের জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে। যা সর্বস্তরে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি করে। তাই তথ্যের প্রকাশ নিশ্চিত করা জরুরি বিষয়। এ আইনটির বহুল চর্চা থাকলে প্রথম দিকে দূর্নীতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যহারে দৃশ্যমান হলেও প্রতিনিয়তই তা কমে আসতো। নিত্যনতুন দূর্নীতির ঘটনা সরকারের অর্জন ম্লান করে দিতে পারতো না। তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের দায় শুধু সরকারের না, নাগরিকেরই বেশী। তবে তথ্য অধিকার আইনের মত শক্তিশালী আইন জনজীবনে কাজে লাগানোর সুফল সম্পর্কে জনগণকে জানানোর দায় সরকারেই বেশী। জেলা উপজেলায় তথ্য অধিকার আইন নিয়ে যে কমিটি তা কতটুকু কাগজে আর কতটুক গণমূখী তা দিবস পালনের কর্মসূচিতে স্পষ্ট হয়। বহুদিনের গোপনীয়তার সংষ্কৃতি শৃংখল ততক্ষণ ভাঙবে না যতক্ষন পর্যন্ত চাকচিক্য ও বিলাসী জীবনের মোহমুক্ত নিবেদিত কর্মীবাহীনি দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। গোপনীয়তার সংষ্কৃতিকে লালন করে বিলাসী জীবনের নিশ্চয়তার প্রতিযোগিতায় নিজের দ্বায়িত্ববোধ টুকু হারিয়ে ফেলে।