হজমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আমড়া। এটিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, আর আশ থাকে। যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি।
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া। অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়। এবং তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে আমড়া খেয়ে নিলে হজমে সহায়ক হবে।
ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হচ্ছে আমড়া। শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী।
শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই আমড়ার সঙ্গেসাথে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে।
আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া।
আমড়ার ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী।