বরগুনায় পৃথক দুই অভিযানে মাছ ধরার ৭২টি নিষিদ্ধ জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চারজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ মে) রাতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বরিশালটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৎস্য বিভাগ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বরগুনা সদর উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিষখালী নদী থেকে নিষিদ্ধ ২৬টি বেহুন্দি, দুইটি চায়না দুয়ারি এবং ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে জালগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
অভিযানে জাটকা পরিবহনের দায়ে মো. রিয়াজ (২৮) নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর।
নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বিশ্বজিৎ কুমার দেব। অন্যদিকে তালতলী উপজেলায় মঙ্গলবার দুপুরে পায়রা নদী থেকে জাটকা শিকার করায় তিনজন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মজিবর গাজি (৩২), মো. সোলাইমান (২৫) ও মো. ছিদাম (৫০)। তাদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। এ অভিযানে ৩৯টি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল, ১ লাখ ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট ও চায়না দুয়ারী জালের পাশাপাশি জাটকা জব্দ করা হয়।
এসব জালের আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানায় মৎস্য বিভাগ। জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় দেওয়া হয় ও জালগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।