গত বছর পরান ও হাওয়া সিনেমা মুক্তির পরই আলোচনায় অভিনেতা শরিফুল রাজ। অনেকেই বলেছিলেন ঢাকাই সিনেমার আগামীর তারকা হতে চলেছেন শরীফুল রাজ। কিন্তু অভিনয়ের চেয়ে ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় আছেন এই অভিনেতা।
নতুন বছরের শুরুর করেন পরীমণির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন দিয়ে। এখনো শোনা যাচ্ছে রাজ-পরীমণির সংসারজীবন ভালো যাচ্ছে না। বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন তারা। এমন অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে রাজের ফেসবুক আইডি থেকে শোবিজের দুই নায়িকা সুনেরাহ বিনতে কামাল ও তানজিন তিশার কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরে।
এসব ছবি ও ভিডিওতে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গেছে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ও টিভি নাটকের অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। অসংলগ্ন ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে সুনেরাহকে। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এসব ছবি ও ভিডিও ২০ মিনিটের মতো ছিল। এরপরই সব পোস্ট ডিলিট করে অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে রাখা হয়েছে।
তবে ডিলিট করার আগেই ছবি ও ভিডিওগুলো অনেকের নজরে এসেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনা। কারণ ভিডিওগুলোতে শোবিজের এই তিন তারকারই অঙ্গভঙ্গি ও মুখের কথা ছিল কুরুচিপূর্ণ।
এ বিষয়ে রাজ ও তিশা এখনও টুঁ শব্দ না করলেও মুখ খুলেছেন সুনেরাহ। এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে পরীমণির হাত আছে বলে আকারে ইঙ্গিতে দাবি করেছেন সুনেরাহ।
ফেসবুক পোস্টে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। একটাই সমস্যা তা হলো সে ছেলে আর আমি মেয়ে।
তার বিয়ের পর থেকে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমাদের দেখা হলো। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে একটা ছবি তোলা কী অপরাধ। কোনো কারণ ছাড়াই তার স্ত্রী (পরীমণি) আমার ওপর রেগে গেল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, ওর (রাজের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সেই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’