বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ‘ইন্তেকাল করেছেন কিনা’ এমন বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, সিইসির বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সিইসি কাউকে আঘাত করার জন্য কোনো বক্তব্য দেননি।
তবুও যদি কেউ সিইসির বক্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আন্তরিকভাবে ইসির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঘটনার পুরো দায় গণমাধ্যমকে দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৬ জুন) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
গত ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওমর হামলা হওয়ায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, বলা যাবে কি-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছিলেন, উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? তার এই বক্তব্যের পর নানা মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়েন কমিশন প্রধান।
ওই হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রার্থীর রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘আপেক্ষিক’ বলেও মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে কড়া সমালোচনা হয় রাজনৈতিক অঙ্গনের ভেতরে ও বাইরে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
অবশেষে ১৪ দিনের মাথায় এসে নিজের বক্তব্যে কারণেই দুঃখ প্রকাশ করলেন তিনি। তবে আবারও অভিযোগের তীর গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশ করে সিইসি বলেন, তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।এর আগে ২০২২ সালে একটি দলের সঙ্গে সংলাপে বসে ‘নির্বাচনে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে তা প্রতিরোধ করতে রাইফেল নিয়ে দাঁড়াতে হবে’ -এমন বক্তব্য দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন সিইসি। ওই বছর ১৯ জুলাই তিনি বলেছিলেন, আমরা কখনো কখনো ভুল করে ফেলি। এজন্য আমি অনুতপ্ত।