ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত নির্মাণের দাবি, সেচ্ছায় সংস্কার

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর অরক্ষিত বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

এসময় পানি প্রবেশ ঠেকাতে কিছু কিছু এলাকা সংস্কার করেছে এলাকাবাসী। শনিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার মধ্যেই নদী তীরে দাঁড়িয়ে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ক্ষতিগ্রস্ত তিন শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।

মানববন্ধন শেষে কাঠালিয়া লঞ্চঘাট এলাকার ফসলী জমি, বসতঘর ও মাছের ঘের রক্ষায় জোয়ারের পানি ঠেকাতে সেচ্ছায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন স্থানীয়রা।

ইতোপূর্বে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিশ্রুতি দিলেও বিষখালী নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে বিক্ষুব্দ হন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পানিবন্দী নদী তীরের মানুষ। স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিষখালী নদী তীরের অরক্ষিত লঞ্চঘাট এলাকার ৫ কিলোমিটারসহ বিষখালি নদীর সাড়ে ৭ বেড়িবাঁধের ভেঙে ফসলি জমি ও বসত ঘরে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝড়ের রাতে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিলেও পানির তোরে ভেসে গেছে বসতঘরে থাকা মালামাল। পানিতে তলিয়ে যায় আমুয়া, আউরা জয়খালী, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, হেতালবুনিয়া, কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঠালিয়া, রঘুয়ার চর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রায় দুইশত ঘরবাড়ি, তিনটি বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি।

বর্তমানে কাঠালিয়া উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পুরোটাই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিক্ষুব্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী অবশেষে তিন শতাধিক মানুষ বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করে।

কাঠালিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদু সিকদার জানান, বিষখালী নদীর হাত থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলাকে রক্ষা করতে হলে ক্লক তৈরি করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের এ দাবি জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হোক।