ঝড়ে ভোলায় ঘর বিধ্বস্ত, ক্ষয়–ক্ষতি

বুধবার রাতে ঝড়ে ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়–ক্ষতি হয়েছে। দুটি উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় দেড় শতাধিক টিনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে কয়েক শ গাছ।

লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ, পশ্চিম চর উমেদ ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
অপরদিকে চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল, নুরাবাদ, আমিনাবাদ, আসলামপুর ও ওসমানগঞ্জের অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ, পশ্চিম চর উমেদ ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
অপরদিকে চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল, নুরাবাদ, আমিনাবাদ, আসলামপুর ও ওসমানগঞ্জের অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি পড়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেতুয়া স্লুইসগেট মেঘনা নদী থেকে ঝড়টি ওঠে। এটা অনেকটা টর্নেডোর মতো ছিল। পরে ঝড়টি দক্ষিণ পূর্ব দিকে ধেয়ে যায়। ঝড়ে ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ, অন্যদাপ্রসাদ ও প্যায়ারীমোহন গ্রামের বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, গাছপালা উপড়ে যায়।

এদিকে লালমোহনের ৬ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আড়াই লাখ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

সরেজমিনে লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চৌমুহী বাজার এলাকা গিয়ে দেখা যায়, অনেকের বসত ভিটা ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও গাছ-পালা ভেঙ্গেছে প্রচুর। অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবার-পরিজন নিয়ে আছে। বসতভিটার আশে পাশে পড়ে আছে আসবাবপত্র। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, বুধবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে পশ্চিম চর উমেদ, রমাগঞ্জ ও লডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছ। ঝড়ের পর থেকে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে আছে।


সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে খোঁজ খবর নেন তিনি। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবারকে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আড়াই লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া ২শ’ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। এদের পুনর্বাসনের জন্য টিন ও গৃহনির্মাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, চরফ্যাশন উপজেলা ৪টি ইউনিয়নের ৭২ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে নুরাবাদ ইউনিয়নে ২০টি, নিলকল ২৪টি, আমিনাবাদ ৮টি ও আসলামপুর ২০টি ঘরবাড়ি রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত শেষে এদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।