বেলুয়া মুগারঝোর গ্রাম

বেলুয়া নদী মুগারঝোর গ্রাম, বৈঠাঘাটা নাজিরপুর, পিরোজপুর। ছবি: এবিএম আনিসুজ্জামান

নাজিরপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ কিলেমিটার দূরে বেলুয়া নদী।  বৈঠাকাটা বাজার ও বেলুয়া মুগারঝোর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বেলুয়া নদী। 

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নদীর বুকে নৌকায় বসে হাট। নৌকায় নৌকায় চলে শাক সবজির কেনাবেচা। দুপুরের আগেই আবার ভেঙে যায় হাট।  পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজার সংলগ্ন বেলুয়া নদীতে সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার বসে এই ভাসমান হাট। ৬৫ বছর ধরে স্থানীয় ২০ থেকে ২৫ গ্রামের কৃষকরা ক্ষেতের সবজি, ধান ও চাল কেনাবেচা করছেন এ হাটে।

বরিশাল জেলার বানারীপাড়া, আগৈলঝাড়া উজিরপুর, পিরোজপুরের নাজিরপুর ও স্বরূপকাঠি উপজেলার বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে সবজি চাষ করছেন অগণিত কৃষকরা।

বর্ষায় এসব এলাকার হাজার হাজার হেক্টর নিচু জমি জলে বন্দি থাকে। জলাবদ্ধতা আর কচুরিপানা অভিশাপ কৌশলের কারণে পরিণত হলো আশীর্বাদে।

ধারণা করা হয় পদ্ধতিটি প্রথম বের করেন নাজিরপুরের কৃষকরা। সেখানেই শুরু হয় ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ।

টেপাপানা দিয়ে তৈরি করে ভাসমান বীজতলা। এভাবে ভাসমান ধাপের উপরে বিভিন্ন রকম সবজির দৌলা দিয়ে মনের মাধুরি দিয়ে সাজায় নান্দনিক ভাসমান বীজতলা।

সেসব ভাসমান বীজতলায় কোনোটায় পেঁপে, লাউ, কুমড়া, শিম, বরবটি আবার অন্যগুলো টমেটো, বেগুন, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সবুজ ফুলকপি, শসার চারা উৎপাদন এবং লাউশাক, লালশাক, পালংশাক, ডাঁটাশাক বা সাদা শাকের চাষও করেন।

এসব ভাসমান বীজতলাগুলো যাতে ভেসে না যায়, সেজন্য তারা শক্ত বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে।