করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ও বরিশাল-ঢাকা নৌ- রুটের বিলাসবহুল লঞ্চ সহ গণপরিবহন সিমিত পরিসরে চলাচলের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিমিত পরিসরে লঞ্চ ও গণপরিবহন চালুর সরকারি নির্দেশ আশার পর বরিশাল লঞ্চের বুকিং অফিসগুলোতে টিকিট দেয়া শুরু হয়েছে। আর অগ্রিম টিকিট পাওয়ার জন্য যাত্রীরা ভির করছে কাউন্টারে।
শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকে নগরীর ফজলুল হক এ্যাভিনিউস্থ সুন্দরবন নেভিগেশন কোং এর টিকিট কাউন্টার সহ অন্য লঞ্চ কাউন্টারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এসব টিকিট দেয়া হয়।
এসময় সুন্দরবন নেভিগেশন কোং চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু নিজেই উপস্থিত থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেন। এরপর অফিস কক্ষে প্রবেশের সময় জীবণুনাশক স্প্রে করে টিকিট বুকিং করতে আসা যাত্রীদের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন। পাশাপাশি অফিসের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কর্মকর্তা ও অফিস কর্মচারীদের বিভিন্ন নির্দেশ দেন।
সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিধি মেনে জিবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে লঞ্চ গুলো উপযুক্ত করা হয়েছে। ধাররক্ষতার বাইরে কোনো যাত্রী নেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, গণপরিবহন টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করলে আমরা লঞ্চ মালিক সমিতি এখন পর্যন্ত টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করিনি। তবে লঞ্চগুলো ১০দিন চলাচলের পর অবস্থা বুঝে ভাড়ার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট নিতে আসা যাত্রীরা বলেন, দীর্ঘদিন ঢাকায় অফিসিয়াল কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রায় দুমাস করোনার মহামারির কারণে ঘরে অবস্থান করেছি। এখন অফিস খুলে দেয়ার কারণে কর্মস্থলে ফিরবো। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার মাধ্যমে সবাইকে করোনা থেকে মুক্ত করার জন্য অন্যান্য যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বরিশাল নদী-বন্দরের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার (৩১ মে) বরিশাল নদী-বন্দর থেকে ঢাকাগামী বিলাসবহুল ও অভ্যন্তরীণ লঞ্চগুলো চলাচল করবে। প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মানার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাক্স ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতিটি লঞ্চে সর্বদা জীবণুনাশক স্প্রে করা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যে রাখতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী যারাই এখানে কর্তব্যরত আছেন সকলকে নিয়ম মেনেই দায়ীত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। আর আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নৌ-থানা পুলিশ সদস্যরা দ্বায়িত্বে থাকবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।