দেশে করোনাভাইরাসে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার আট জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৪৮৯ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০৫ জনে। এদিকে আরও এক হাজার ৯২৫ সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৩৮ হাজার ১২৬ জন সুস্থ হলেন।
আজ বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।অধ্যাপক নাসিমা বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ হাজার ৯২২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৫২৭টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪টি।
তিনি বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ২১-৩০ বছরের একজন, ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে একজন, ময়মনসিংহে ২ জন এবং রংপুর বিভাগে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫ জন। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭১৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৬৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৩ হাজার ৪১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮২০ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩০ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৪৯০ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।