বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৮০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ১৫ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় পিরোজপুর ব্যতিত বিভাগের ৫ জেলায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিকে করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে বিদেশী নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে
ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৫ হাজার ২১৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৪ হাজার ১৭১ জনকে, আর এরমধ্যে ১১ হাজার ৭৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ১ হাজার ৪৪ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এরবাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬৮ জন এবং এরইমধ্যে ৩৪১ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে
এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যারমধ্যে ৭ জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকীরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৪৬৮ জন, পটুয়াখালীতে ৭২, ভোলায় ৫৩, পিরোজপুরে ৭৮, বরগুনায় ৭৭ ও ঝালকাঠিতে ৫৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ১৫৯ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ্য হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ১৫ জনের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে ১ জন করে মোট ৪ জন, বরিশাল নগরের কাজিপাড়ায় ১ জন, বাকেরগঞ্জে ১ জন ও মুলাদীতে ২জনসহ মোট ৪ জন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে মোট ২ জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে ১ জন করে মোট ২ জন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও নাজিরপুরে ১ জন করে ২ জন এবং ভোলার লালমোহনে ১ জন রয়েছেন।