আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের কিছু মানুষ সংক্রমণ লুকিয়ে চলাফেরা করছেন। করোনা লক্ষণ স্পষ্ট হলেও তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান, পরীক্ষা করেন না। বরং লুকিয়ে রাখেন। এতে যা ক্ষতি করার তা করে ফেলছেন। ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। একজন থেকে শতজন হচ্ছেন আক্রান্ত। এত মৃত্যু, এত সংক্রমণ তারপরও কি আমাদের বোধোদয় হবে না? উচ্চ আদালতকেও ভিড় এড়াতে নির্দেশনা দিতে হচ্ছে। তবুও আমাদের বোধ কাজ করছে না।
সোমবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নানা সীমাবদ্ধতা নিয়েও দিন-রাত কাজ করছে। এটা একটা মহামারি। পৃথিবীর প্রায় সব দেশই বিদ্যমান সুবিধা দিয়ে এ মহামারি ফেস করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমেরিকার মতো দেশে নৌবাহিনীর জাহাজকে হাসপাতাল বানাতে হয়েছে। ভারতে ট্রেনের বগি করা হয়েছে হাসপাতাল। আমি বলতে চাই, প্রতিকারের চেয়ে জোরাল প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া আমাদের বিকল্প উপায় নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সাহসী বীরের জাতি। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে মরুভূমিতে আশার শতফুল ফোটাই। অনাবাদি জমিকে করি সবুজ, প্রবল মনের শক্তি, দায়িত্ববোধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে নিজ নিজ ঘরকে সচেতনতার দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলি। আস্থা রাখি আমাদের আশার বাতিঘর সংকটের সাহসী নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ওপর। সকলের ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ইনশাল্লাহ আমরা আবার ফিরে পাব আমাদের চিরচেনা জগত, ফুল-ফসল-হাসি-আনন্দের বাংলাদেশ, উদ্বেগহীন গোধূলি আর আশা জাগানিয়া সুবর্ণ প্রভাত।