পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু হাসপাতালে কভিড-১৯ ওয়ার্ড চালুর ১ দিনের মাথায় দায়িত্ব ফেলে পালিয়েছেন কর্তব্যরত এক চিকিৎসক। পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সেই চিকিৎসকের নাম সরিফুল ইসলাম।
সহকর্মীরা ধারণা করছেন, কভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে পালিয়েছে তিনি। সহকর্মীরা বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হাসপাতাল থেকে তার বাসায় লোক পাঠিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে চিকিৎসা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষের মাঝে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাবনা কভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. সালেহ মুহাম্মদ আলী জানান, গতকাল রাতে কভিড-১৯ ওয়ার্ডের ডা. সরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি গতকাল রাত থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এমনকি গতকাল মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে আসেননি। এ বিষয়ে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল নিরঞ্জন বসাককে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেননি।.
পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল নিরঞ্জন বসাক বলেন, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমাকে জানানোর সাথে সাথে আমি ডা. সরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বাসায় লোক পাঠানো হয়েছে। সল্প সময়ের মধ্যে তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ না করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন। জেলায় ১৬১ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। মোট পরীক্ষা হয়েছে ২ হাজার ২২২ জনের।