দেশে করোনাভাইরাসে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮১ জনে। এদিকে আরও ৫৭১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১২ হাজার ১৬১ জন সুস্থ হলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৭৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৬৯৪টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো তিন লাখ ৫৮ হাজার ২৭৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ছয় জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।
তিনি জানান, মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগের দুই জন এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে রয়েছেন।এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাসায় মারা গেছেন ১২ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৮৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ছয় হাজার ৭৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৬৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩৭৫ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৯৫ হাজার ১৮৮ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৬৩৪ জন, মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।