বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৯৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৩২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ২০ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে বিদেশী নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৫ হাজার ৯৭৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যারমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৪ হাজার ৮৪৯ জনকে, আর এরমধ্যে ১২ হাজার ২৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ১ হাজার ১২৭ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৮৫৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এরবাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪৯ জন এবং এরইমধ্যে ৩৭২ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যারমধ্যে ১০ জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকীরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৬১৭ জন, পটুয়াখালীতে ৭৮, ভোলায় ৬৮ পিরোজপুরে ৮৭, বরগুনায় ৮০ ও ঝালকাঠিতে ৬৪ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ২৩২ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ্য হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ২০ জনের মধ্যে বরিশাল নগরের চান্দুর মার্কেট এলাকায় ১ জন, কাজিপাড়ায় ১ জন, বাবুগঞ্জে ১জন, গৌরনদীতে ১ জন, বাকেরগঞ্জে ১ জন ও মুলাদীতে ২জনসহ মোট ৭ জন, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে ১ জন করে মোট ৪ জন, পিরোজপুর সদর, নেছারাবাদ ও নাজিরপুরে ১ জন করে ৩ জন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে মোট ২ জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে ১ জন করে মোট ২ জন, এবং ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনে ১ জন করে মোট ২ জন রয়েছেন।