দেশে এখনও চলছে করোনা ভীতি। বিভিন্ন জায়গাতেই খুলেছে পার্লার, তবে ভয়ে পার্লারে যাচ্ছেন না অনেকেই। তাই বাড়িতেই অনেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চার দিকে মন দিয়েছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে ভুলভ্রান্তি করে ফেলছেন কখনও কখনও। কিছু জিনিস সরাসরি ত্বকে লাগানো উচিত নয়। কিন্তু না জানার কারণে অনেকেই ত্বকে তা সরাসরি প্রয়োগ করেন। এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। রূপচর্চার আগে জেনে নেওয়া দরকার কোন জিনিস কীভাবে ব্যবহার করবেন।
সপ্তাহে মাঝে মধ্যে অন্তত নিজের ত্বক ও চুলের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করুন।অনেকে বলেন, ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে লেবু অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু ভুলেও লেবু সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না। কারণ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। তাই সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উজ্জ্বলতা কমতে পারে। তাই লেবু ত্বকে প্রয়োগ করার আগে পানি মিশিয়ে তবেই চামড়ায় লাগান। ত্বকে লেবু লাগানোর আগে অবশ্যই একবার অল্প একটু জায়গায় লাগিয়ে দেখে নিন। যদি ত্বকে সেটি স্যুট করে, তাহলেই প্রয়োগ করুন।
এছাড়া টুথপেস্টও সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা ঠিক নয়। ব্রণ হলে অনেকেই টুথপেস্ট লাগান। এতে উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু টুথপেস্টও সরাসরি ত্বকে লাগানো ঠিক নয়। এতে ফল হত হিতে বিপরীত। এটি ব্রণ কমায় ঠিকই। কিন্তু চামড়াকেও পুড়িয়ে দেয়। ফলে সেখান থেকে অ্যালার্জি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
একই কথা বেকিং সোডার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিশেষ করে সেনসিটিভ স্কিন থাকলে বেকিং সোডা ব্যবহার করার আগে দু’বার ভাবুন। কারণ অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ত্বকে ভিনিগার একেবারেই সরাসরি ব্যবহার করবেন না। এমনকি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারও না। কারণ ভিনিগার মাত্রই তাতে অ্যাসিড থাকে। ফলে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। পুড়ে যেতে পারে ত্বক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে তার চেয়ে বরং ডে ক্রিম বা নাইট ক্রিম মাখুন। সুতির রুমালে মুড়ে বরফ ঘষুন ত্বকে। দই বা হলুদ মাখুন। এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে।