শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত সরব থাকতে দেখা যায় বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। এই দফায় তিনি কথা বললেন শিশু নির্যাতন নিয়ে। শিশুদের প্রতি অমানবিক নির্যাতনের ঘোরতর বিরোধিতা করে প্রিয়াঙ্কা একে আখ্যা দিয়েছেন ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি পোস্ট করেন পিসি। তিনি মনে করেন, শিশুদের সরলতাকে রক্ষা করা বড়দের দায়িত্ব। শিশুর প্রতি কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটতে দেখলে তা জানাতেও ভক্তদের প্রতি আহ্বান তাঁর।

‘শিশুদের সারল্য ভীষণ ভঙ্গুর, আর একে রক্ষা করা সর্বোচ্চ দায়িত্ব। ব্যক্তিগতভাবে বেশ কিছু ভয়ঙ্কর গল্প শুনেছি। অনেক শিশুকেই অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। নির্যাতন বন্ধে আপনি সাহায্য করতে পারেন… ১০৯৮ নম্বরে ডায়াল করে অভিযোগ জানান। আমাদের শিশুদের শৈশব সুরক্ষা করুন,’ লেখেন প্রিয়াঙ্কা।

ভারতের অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ স্মৃতি ইরানির এক টুইটের জবাবে ওই টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা। একটি ভিডিও শেয়ার করে স্মৃতি লেখেন, ‘শিশু নির্যাতনের নিরব দর্শক হবেন না। আওয়াজ তুলুন ও ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করুন। ডায়াল করুন ১০৯৮ নম্বরে।’

শিশু অধিকার ও শিক্ষার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইউনাইটেড নেশন চিলড্রেনস ফান্ডের (ইউনিসেফ) সঙ্গে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে তিনি গ্লোবাল ইউনিসেফ গুডউইল অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হন। শিশুকল্যাণের লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ, ইথিওপিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান ও সেখানকার শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।

এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘ইক্যুয়াল জাস্টিস ইনিশিটিয়েভ’ ও ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন’-এ অনুদান দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাস।

‘প্রিয়াঙ্কা ও আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি… এই দেশে ও বিশ্বজুড়ে বৈষম্য এখন স্পষ্ট। বর্ণবাদ, গোঁড়ামি ও মতামতে বাধাদান অনেক দূর এগিয়েছে। আর চুপ থাকা একে কেবল বাড়িয়েই তোলে না, এটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করে,’ টুইটারে লেখেন নিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড। গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাঁকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়। ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে।