চিরসবুজ সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের জন্মদিন আজ (১ জুন)। অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রয়েছে অগণিত ভক্ত-অনুরাগী। বিশেষ এ দিনে তাঁদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এ কণ্ঠশিল্পী।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে জনজীবন স্থবির। ঘরবন্দি মানুষ। দুঃসময়ে শিল্পীর হৃদয়ে ব্যথা তো জেগে উঠবেই। তাই বিশেষ দিনটিতেও কুমার বিশ্বজিতের কণ্ঠে বিষাদের সুর।
‘এখন পৃথিবীতে যে অবস্থা চলছে, তাতে কোনো দিবসই আর বিশেষ দিবস বলে মনে হয় না। কোনোভাবে বেঁচে থাকাটাই যেন জীবন মনে হয়। চারদিকে পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন চলে যাচ্ছেন। অসময়েই চলে যাচ্ছেন গুণীজনরা। মাকে হারিয়েছি প্রায় এক বছর। যিনি ছিলেন আমার কুমার বিশ্বজিৎ হওয়ার কারিগর। এই জন্মদিনটিতে কোনো আনন্দ পাচ্ছি না,’ এনটিভি অনলাইনকে বলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।
বিশেষ দিনটিতে কুমার বিশ্বজিৎ সম্মান জানালেন করোনাযোদ্ধাদের। তিনি বলেন, ‘আমার জন্মদিনে অবশ্যই যেটা বলতে চাই, সেটি হচ্ছে, করোনার এই প্রকোপে সবাই যখন নিজের জীবন বাঁচাতে ঘরবন্দি, ঠিক এই সময়ে সবাইকে বাঁচাতে যাঁরা মাঠে কাজ করছেন; বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আরো যাঁরা বিভিন্ন স্তরে থেকে সহযোগিতা করছেন, তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ও স্যালুট।’
১৯৬৩ সালের ১ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
কুমার বিশ্বজিৎ বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াকালে ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন এই শিল্পী। এরপর অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তাঁর কণ্ঠের জাদু মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে দীর্ঘদিন।
কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে’, ‘ভিটা নাই রে’, ‘আমি সাম্পানে বাঁধিব ঘর’, ‘মানুষ বুড়ো হয় মন বুড়ো হয় না’, ‘মাতাল হাওয়া কেন বুকের মাঝে মিশে’, ’সেই কথা সেই স্মৃতি ছিলাম খেলার সাথি’ অন্যতম।