করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট এক হাজার ৯৫ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো তিন হাজার ৪৭১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা একদিনে শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলেন ৮১ হাজার ৫২৩ জন।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা জানান, নতুন সংযুক্ত তিনটিসহ মোট ৫৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি।
তিনি জানান, নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরো তিন হাজার ৪৭১ জনের। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৯৫ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩২ জন হাসপাতালে ও ১৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন। ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, তিনজন বরিশাল বিভাগের, পাঁচজন রংপুর বিভাগের, একজন খুলনা বিভাগের এবং দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ছয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী একজন, ৯০ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজন এবং শতবর্ষী একজন মারা গেছেন।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরো ৪৩৬ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৭৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৯ হাজার ১২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে দুই হাজার ৮৮৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন লাখ ১৫ হাজার ২৩২ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৯ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৮৫৩ জন।