শেবাচিম হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৪ বৃদ্ধর মৃত্যু

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজে (শেবাচিম) হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ষাটোর্ধ ৪ বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১১ জুলাই) বিকেলে থেকে রোববার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ও আইসিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থান তাদের মৃত্যু হয়। শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, রোববার (১২ জুলাই) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা কদম আলী (৬৫) শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এরআগে তিনি ভোররাত ৪ টার দিকে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।  মৃত্যুর পর তার  নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে সকাল ৭ টায় ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার ‍সুফিয়া বেগম (৬০) শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরআগে তিনি শনিবার দিবাগত রাতে পৌনে ১ টার দিকে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।  তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

এরআগে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১ টায় শেবাচিম হাসপাতালের এক চিকিৎসকের স্বজন আঃ গনি হাওলাদার (৭০) শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরআগে তিনি ৭ জুলাই সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।  তবে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ হলে রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে। এছাড়া শনিবার বিকেলে বরিশালে উজিরপুর উপজেলার পূর্ব সাতলা গ্রামেন সন্তস কুমার রায় (৬৮) শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরআগে তিনি ১১ জুলাই বিকেল ৩ টা ৫ মিনিটে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

  তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন। উল্লেখ্য এ পর্যন্ত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে করোনা, আইসোলেশন ও আইসিইউ ইউনিটে ১৩১ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। যারমধ্যে ৫১ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন