বিদ্যমান সরকারি নিয়ম মেনে আবারও কন্ট্রাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের অ্যান্টিবডি কিটের সক্ষমতা (ভ্যালিডেশন) যাচাই করতে বলেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। রবিবার (৫ জুলাই) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ওষুধ প্রশাসন আমাদের কথা পজিটিভলি শুনেছেন। অ্যান্টিবডি কিটের বিষয়ে আমাদের ইন্টারনাল ভেলিডেশান রিপোর্টকে আমলে এনে নিবন্ধন দেওয়ার অনুরোধ করেছি আমরা । তারা বিদ্যমান সরকারি নিয়মে আবার সিআরও এর মাধ্যমে ইউএস এফডিএ আমব্রেলা গাইডলাইন্স অনুযায়ী এক্সটারনাল ভেলিডেশান করতে বলেছেন। আগামী বুধবার অ্যান্টিজেনের নীতিমালা ফাইনাল হবে। তারপর ওষুধ প্রশাসন আমাদের একটা ফরম্যাট পাঠাবে । সেই অনুযায়ী প্রটোকল আপডেট করে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডা. মুহিব উল্লাহ বলেন, নতুন কিছু করতে গেলে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আবার একইরকম সিআরও’র মাধ্যমে এক্সটারনাল ভেলিডেশন করতে হবে। তারা যে নতুন গাইডলাইন দিয়েছে, সেটা অনুযায়ী করতে হবে। আমরা সেটা করবো।
এর আগে ১৭ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন জমা দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা অ্যান্টিবডি কিটের সেনসিটিভিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে হওয়ায় নিবন্ধন দেয়নি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।