‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত রাজধানীর ওয়ারীতে লকডাউন শুরু। শনিবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য এ লকডাউন শুরু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এই এলাকাটি লকডাউনের জন্য সব প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি।
প্রতিটি রাস্তা ও গলির মুখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । ডিএসসিসির কর্মী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা মিলে এ কাজ করছেন। জনসাধারণকে সচেতন করতে এলাকায় আগেই মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া, ওয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে লকডাউন এলাকার নাম ও কট্রোল রুমের জরুরি ফোন নম্বর উল্লেখ করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
টিপু সুলতান রোড ও সুমিজ হট কেক- এর সামনে দুটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। এই দুটি গেট দিয়েই জরুরি প্রয়োজনে এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে। এছাড়া, আউটার রোডগুলোর মধ্যে যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোডগুলোর মধ্যে— লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় (ওয়ার্ড নম্বর ৩৪, ৩৮, ৪১) সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন করেছি। আমাদের কাছে সিটি করপোরেশন থেকে যেভাবে নির্দেশনা এসেছে, ঠিক সেভাবেই লকডাউন কার্যকর করবো।
এর আগে, গত ৩০ জুন ওয়ারীর তিনটি প্রধান সড়ক ও ৫টি গলির নাম উল্লেখ করে লকডাউন করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ১ জুলাই এ নিয়ে লকডাউন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। ওই সভায় ৪ জুন (শনিবার) ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।