বরিশাল:
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শূন্য পদের অনুকূলে নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতকৃত ১৫০ শয্যাকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণের সুপারিশ করা হয়েছে।
করোনা প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে বরিশাল জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম এর সাথে এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয় পর্যায় থেকে এ সুপারিশ করা হয়। বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে এছাড়াও ওই সভায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ হাই ক্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন সুবিধা বৃদ্ধি করণসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা চিকিৎসার জন্য সরঞ্জাম/লজিস্টিকস সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
শনিবার (১১ জুলাই) বরিশাল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস, শেখ হাসিনার সেনানিবাসের ৬২ ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফয়সল আবেদী হাসান-পিএসসি, শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ এস. এম. সারওয়ার, বরিশালের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটনের উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ খায়রুল আলম, জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বরিশাল জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হতে সৃষ্ট বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিত বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। এসময় বরিশাল জেলায় আরো একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট এবং ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে এখনি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে উপস্থিত সকলেই করোনার প্রভাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।
সভার শেষে প্রধান অতিথি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম Covid -19 এর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল দপ্তরের সমন্বয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নসহ বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সবাইকে একসঙ্গে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কাজ করার আহবান জানায়।