রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা জানিয়ে সতর্ক থাকতে সাহায্য করে অক্সিমিটার। সাধ্যের মধ্যে দাম এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য হওয়ার কারণে অনেক বাড়িরই আজকের ফার্স্টএইড কিট হিসেবে যন্ত্রটি রাখেন। Hypoxemia অর্থাৎ রক্তে অক্সিজেনের অভাব সহজে শনাক্ত করতে পারে এই মেশিন। তাই করোনা আক্রান্ত হলে রক্তের অক্সিজেনের কমে যাওয়া সহজেই ধরা পড়ে এই মেশিনের মাধ্যমে।
অক্সিমিটারে থাকে একটি স্ক্রিন ও একটি লাইট ডিটেক্টর। চিকিৎসকরা এটাকে ফটো ডিটেক্টরও বলে থাকেন। অক্সিমিটারের নির্দিষ্ট স্থানে আঙুল রাখলে পালস রেট ও হিমোগ্লোবিনে অক্সিজেনের মাত্রা দুই মাপই জানান দেয় এই যন্ত্র। সাধারণত ৬০-১০০ BPM নিরাপদ এবং রক্তে ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ অক্সিজেন থাকলে ভয়ের কারণ নেই। তবে তার কমে হলে চিকিৎসের সাহায্য নেওয়া জরুরী।
তবে অক্সিমিটার দিয়ে কখনই সম্পূর্ণভাবে শরীরে করোনার উপস্থিতি বোঝা যায় না। ভারতীয় চিকিৎসক বীরেন্দ্র সিং জানান, এটা কখনই করোনার নির্দেশক নয়। এমনকি কোনও শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত রোগকেও নিশ্চিতভাবে নির্দেশ করে না এই যন্ত্র। তবে রক্তের অক্সিজেন চাহিদার তথ্য মিলতে পারে এই যন্ত্রের সাহায্যে।