প্রযুক্তির এই বিশ্বে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। সেই ফোনেই ঘুরে বেড়ায় হাজার রকমের ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো এসব ভিডিও অনেক সময় হয়ে যায় ভাইরাল।
তবে সব ভিডিও দেখে বস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে নিলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমনটাই হয়েছে ৩৭ বছর বয়সি নারী মিসেস শফিয়া বশিরের ক্ষেত্রে। টিকটকের ভিডিও দেখে বেশ মজে গিয়েছিলেন তিনি। আর তাই নিজেও ভিডিও’র মত করে খুব সহজে ডিম রান্নার পরীক্ষণ চালাতে যান।
তখনই ঘটে বিপত্তি। বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেলেও পুড়ে গেছে তার মুখের ত্বক। শফিয়ার মুখ থেকে চামড়া উঠে আসছে। এ নিয়ে চরম যন্ত্রণার শিকার তিনি। সে কথা নিজে জানালেন অন্যদের।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নারী একটি ডিম সিদ্ধ করার ভিডিও দেখেছিলেন অনলাইনে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে কীভাবে সহজে ডিম সিদ্ধ করতে হয়, সেটাই দেখানো হয় ওই ভিডিওতে।
টিকটকের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। অনেক লাইক, শেয়ার, কমেন্ট পড়ে ভিডিওটিতে। সেভাবেই নজরে আসে মিসেস বশিরের। তিনি ভিডিওটি দেখে বেশ চমকে যান। এত সহজে ডিম রান্না করা যায় দেখে রীতিমতো খুশি হন শফিয়া বশির। শুধু তাই নয়, নিজের ঘরে সেই আয়োজন করে ফেলেন।
একটি মগের মধ্যে কিছুটা পানি দিয়ে তার মধ্যে ডিম রাখেন, এরপর মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দুই মিনিট সিদ্ধ করতে টাইমারে বসান। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল, পরে বের করে এনে যখন খোসা ছাড়াতে যান তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ডিমের মধ্য থেকে ফোয়ারার আকারে বেরিয়ে আসে ভিতরের হলুদ অংশ।
যা সোজা তার মুখে গিয়ে লাগে। এরপরেই পুরো মুখ পুড়ে যায় তার। সঙ্গে সঙ্গে পানির কল ছেড়ে মুখে দেন কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পোড়ার জ্বালা কমাতে শেষে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন ১২ ঘন্টা ধরে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনার জন্য বেশ অনুতপ্ত শফিয়া। ওই ভিডিও দেখে মজে যাওয়াই ভুল হয়েছে তার। এখন সে কথাই স্বীকার করছেন তিনি। পাশাপাশি তার পরিচিতদেরও এমনটি না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
শুধু তাই নয়, এক সাক্ষাৎকারে পাঠকদের উদ্দেশ্যেও একই কথা বলেন তিনি। মুখের ত্বক উঠে আসার পর থেকে বেশ মনখারাপ তার, নিজের এই হাল দেখে খুবই অনুতপ্ত তিনি।একইসঙ্গে মিসেস বশির প্রতিজ্ঞা করেছেন আর কখনও এমনটি চেষ্টা করবেন না।
এমনকি ক্ষোভে তিনি ঠিক করেছেন জীবনে আর ডিমই খাবেন না। এদিকে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছে মাইক্রোওয়েভে ডিম রান্না নিয়ে বিপদ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।