পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বোয়ালীয়া ও সামুদাবাদ সড়কের সংযোগ সড়কটি পাকাকরণ হচ্ছে না। মাত্র পৌনে এক কিলোমিটার সড়কটি পাকাকরণ নিয়ে রশি টানাটানি চলছে যুগযুগ ধরে।
আজও এর প্রতিযোগিতা শেষ হয়নি। রাস্তাটি গলাচিপা পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে এ অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে রাস্তাটিতে চলাচল করতে গিয়ে হাঁটু সমান কাদার কবলে পড়তে হয়। স্কুলগামী শিশুরা অনেক সময় কাদায় আটকে যায়।
বয়স্করা এসে তাদের উদ্ধার করে। গত বছর রাস্তায় নতুন করে মাটি দেওয়ায় আগামী বর্ষা মৌসুমে আরও বেশি পরিমাণ কাদা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা হাঁটু সমান কাদা ডিঙিয়ে কিভাবে স্কুলে যাবে সে চিন্তায় বিপাকে পড়েছে অত্র এলাকার অবিভাবকেরা। এদিকে পাকাকরণ না হওয়ায় মাটি দিয়ে রাস্তা উন্নয়নের নামে প্রায় প্রতিবছর এর ফায়দা লুটছে সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গেলে ওই এলাকায় গেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আ. মন্নান মিয়া, শহিদুল মৃধা, সোহরাব গাজীসহ অসংখ্য গ্রামবাসী বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে মাটির এ রাস্তাটি নির্মিত হয়। অথচ অর্ধশতাব্দি পার হলেও মাত্র পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় যাতায়াতে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহায় এ এলাকার মানুষ।’
আরও জানা গেছে, এ রাস্তাটির দু’পাশে রতনদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উত্তর চরখালী ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, পশ্চিম রতনদি বায়তুল আকসা জামে মসজিদ ও উত্তর চরখালী নূরিয়া জামে মসজিদ রয়েছে।
রাস্তার দু’পাশে দুই হাজার লোকের বসবাস। এছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে চরখালী, রতনদি, ইটবাড়িয়া মুরাদনগর, গোড়াবালা, পানপট্টি ইউনিয়নেরও লোকজন যাতায়াত করে।
গলাচিপা পৌরশহরের প্রাতঃভ্রমণকারীরাও শুকনো মৌসুমে অনেকেই এ সড়ক ভ্রমণ করে থাকেন। কিন্তু বর্ষা এলেই তারা এ রাস্তায় ভ্রমণ করতে আর আসেন না।এলাকার সমাজ সেবক আ. মন্নান মিয়া বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকার জনগণ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুসহ শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাব সিকদার বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘পৌরসভার শেষ সীমান্তে হওয়ায় রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পাকাকরণে অবহেলিত ও উপেক্ষিত হয়ে আসছে। জনস্বার্থে এ রাস্তাটি পাকাকরণ একান্ত প্রয়োজন।’
উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য আইডি ছিল না। আইডি গেজেটভুক্ত হয়েছে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।
প্রকল্প অনুমোদন এবং অর্থ বরাদ্দ এলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদাও এ রাস্তাটি পাকাকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’