মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে তিন মাস আগে আত্মহত্যা করেন এক শিশুর মা। আড়াই বছরের শিশুটিকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার নিজের ভাইয়ের বিচার চাইতে থানায় আসেন শিশুটির বাবা।
গতকাল রাতে আন্ধারমানিক উপজেলা সড়কের হরিরামপুর থানার পাশে বাবার কোলে শিশুটিকে কাঁদতে দেখা গেছে। ঘণ্টা দেড়েক ধরে চেষ্টা করেও কান্না থামাতে পারেননি বাবা রজ্জব আলী। রজ্জব উপজেলার চালা ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের ইছহাকের ছেলে।
রজ্জব আলী বলেন, তিন মাস আগে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এরপর থেকে তিনিই শিশুটিকে লালন–পালন করছেন। শিশুকে গাভির দুধ খাওয়াচ্ছেন, তবে অর্থ কষ্টে ঠিকমতো খাওয়াতে পারছেন না।
রজ্জব আলী জানান, তিনি ইট ভাঙার কাজ করেন। তবে শিশুর মা মারা যাওয়ার পর কাজে যেতে পারছেন না। বাচ্চাকে দেখার মতো কেউ নেই। তাঁর নিজের মা বেঁচে নেই।শাশুড়িও শিশুকে নিচ্ছেন না। কয়েক দিন কাজে গেছেন, এসে দেখেন বাচ্চা কাঁদছে। তাঁর ভাই বাচ্চাকে মারধর করেছেন। তিনি তাঁর ভাইয়ের বিচার চাইতে থানায় এসেছেন। থানায় ছোট ভাই মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দিয়েছেন রজ্জব আলী।
হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ এর আগে গত ১ মার্চ দিবাগত রাতে হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের রজ্জবের স্ত্রী রোকসানা বেগম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তানের জননী রোকসানা গোপনে অন্য এক ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। রোকসানার স্বামী জানতে পেরে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে জানান।পরে রোকসানার ভাই মো. রফিকুল ইসলাম (২৪) রোকসানার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। এ ঘটনায় রাগে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রোকসানা।