বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বিজয়ী হওয়ায় বরিশালের সর্বস্তরের জনগণ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা, বিভাগীয়, জেলা ও মহানগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী এবং বরিশাল জেলা ১৪ দল ও বরিশাল প্রশাসনের সকল স্তরের সদস্যদেরকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার হাত আরও শক্তিশালী করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
এ ছাড়া পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও নবনির্বাচিত মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮টি।
দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫৩ হাজারের বেশি।
তবে খোকন সেরনিয়াবাতের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল নিজের দলের একাংশের নেতাকর্মীদের কাছে টানা। কারণ তার বড় ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে নগরীর সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবারও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেখানে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে খোকন সেরনিয়াবাতকে।
দুই ভাইয়ের পরিবারের বিভেদের বিষয়টি অনেকটাই পুরনো। মনোনয়নকে ঘিরে তা আবার প্রকাশ্যে আসে।
তাদের বিভেদ ঘোচাতে এমনকি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকেও উদ্যোগী হতে হয়। খোকন সেরনিয়াবাদের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে ‘টিম লিডার’ করে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।
যদিও এ ধরনের কমিটি অন্য চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য করা হয়নি। এ ছাড়া ভোটের দিন বরিশালেই যাননি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহ।
বাবা-ছেলে দুজনেই রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সাদিক। তিনি বলেন, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশেই বরিশালের বাইরে আছেন।’