বরগুনার পাথরঘাটায় হাফেজি মাদরাসার সিয়াম (১২) নামে এক ছাত্রকে শিকলে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২০ জুন পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মাছেরখাল হাফেজি মাদরাসায় সিয়ামকে শেকলে বেঁধে রাখায় বলে অভিযোগ।
নির্যাতনের পর ওই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। সিয়াম পাথরঘাটা কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। এ বিষয় নির্যাতিত ছাত্র সিয়ামের বাবা মো. খলিলুর রহমান প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার (২৫ জুন) বেলা ১২ টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সিয়ামের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ৬ বছর ধরে এই মাদরাসায় আমার ছেলে লেখাপড়া করে। গত মঙ্গলবার রাতে আমার ছেলেকে মাদরাসার খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এর পর থেকে সিয়াম মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়।
পর দিন আমার বোন সালমা ছেলের খবর নিতে গেলে জানা যায়, সিয়াম মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে না জানানোর কারণে আমার সন্দেহ হয়। আমরা বার বার মাদরাসায় গিয়ে আমার ছেলের খোঁজ নিতে শিক্ষকদের সহযোগিতা চাইলে তারা কোনো সহযোগিতা না করে আমাদের দেখে সটকে পড়েন।
কোনো উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার মাদরাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। মাদরাসাছাত্র নির্যাতনের অভিযুক্ত শিক্ষক আলামিন বলেন, সামনে পরীক্ষা। এ কারণে লোখাপড়ার চাপে পড়ে সিয়াম পালিয়ে গেছে।
আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। মারধরের বিষয় জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।