বরিশালে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ-ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার পর সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপে অন্তত ৮৪ জন আহত হয়েছে। এসময় ববির একটি বাসে ভাংচুর চালায় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এরপর ববি শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজ এলাকায় গিয়ে কলেজের তিনটি বাস ভাংচুর করে। আহতরা বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এস এম সাইফুল ইসলাম। মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহীনির সাথে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এদিকে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, চাদাজী করতে গিয়ে দুই জনকে স্থানীয়রা আটক করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এসময় তারা বিএম কলেজে হামলা চালিয়ে বাসসহ যে ভাংচুর হয়েছে তার ক্ষতিপুরন দেওয়া, হামলার উস্কানিদাতাদের চিহৃিত করে বিচারের আওতায় আনাসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। জানাগেছে, সোমবার রাতে বিএম কলেজ সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাফিকে মারধর করে ববি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বটতলা এলাকায় অবস্থানকালে দুইজন ববি শিক্ষার্থীকে মারধর করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। দুই ববি শিক্ষার্থীদের মারধরে খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহীনির সদস্যরা উপস্থিত হন। পরে রাত সাড়ে ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে সেনাবাহীনি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোমবার রাতে নগরীর ব্যাস্টিস্ট মিশন রোডে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পরিবারের বিরোধীয় বাড়ি দখল করতে হুমকি ও দুই নারীকে হেনস্থা করে বিএম কলেজ সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাফি। তখন ববি শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে হাজির হলে রাফিকে মারধর করা হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দুই সহপাঠীকে মারধর করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তিনটি বাসে চড়ে ববি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে নগরীর বটতলা এলাকার দিকে রওনা দেন। একটি বাস নগরীর বটতলা এলাকায় পৌঁছানোর পথে শিক্ষার্থী বোঝাই বাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, হামলা চালিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের আহত করা হয়েছে। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তিনটি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিষয়ে তারা বিএম কলেজ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে সমাধান করা হবে