বরিশাল: বরিশালে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিহতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন আল-আমিন নামের এক কথিত আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে গ্রেপ্তার করেছে সেনা এবং পুলিশের যৌথ দল।
নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কথিত নেতা তিনি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মজিবর রহমানের অনুসারী আল-আমিন। তিনি স্টেডিয়াম কলোনির বাসিন্দা মো. করিমের ছেলে।
রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের চাঁদমারি স্টেডিয়াম কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর একটি মামলার তদন্ত করতে যাওয়া কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে ধাওয়া দেওয়া হয়। তদন্ত কাজে সহায়তা করা বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস হাওলাদারসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় আল-আমিনকে প্রধান করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ন কবির বলেন, দুপুরে আল-আমিন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলতে থাকে এই কলোনিতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী প্রবেশ করতে পারবে না। আপনাদের যার কাছে যা কিছু আছে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করতে রাস্তায় আসুন। এ খবর পেয়ে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই রাহাতুল ইসলাম বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর আমরা অভিযোগ পাই সুমন নামে এক ব্যক্তিকে কলোনির একটি ঘরে আটক রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে থানার পৃথক তিনটি দল সেখানে গিয়ে সুমনকে উদ্ধার করেন।
এসআই রাহাতের দাবি তারা সুমনকে নিয়ে ফেরার পর কলোনির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষের কয়েকজনকে কুপিয়েছে। আহত পক্ষ আল-আমিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সাথে আলাপ করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুপুরের পর আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মলি বেগম জানিয়েছেন, আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসাসহ সহযোগীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে।