যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় বিয়েও ভাঙতে চলেছে। স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের দাম্পত্য জীবন কোনো মতে টিকে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক এক সহযোগীর দাবি, স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন মেলানিয়া। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হতেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করবেন ফার্স্টলেডি।
আনহিনজড: এন ইনসাইড অ্যাকাউন্ট অব দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ নামক একটি বই লিখেছেন ট্রাম্পের সাবেক রাজনৈতিক সহযোগী ওমারোসা ম্যানিগল্ট নিউম্যান। সেখানে প্রেসিডেন্টের দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ওমারোসার দাবি, ডোনাল্ড-মেলানিয়ার দাম্পত্য জীবন মোটেই সুখের নয়। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান মেলানিয়া। তবে এটা তার কাছে স্পষ্ট, যতদিন প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন ডোনাল্ড, ততদিন এই বিয়ে ভাঙা সম্ভব নয়। তাই প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রহর গুনছেন তিনি।
বইটিতে লেখা আছে, ‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন মেলানিয়া বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করলে বড় বিপদে পড়তে পারেন। যেকোনো একটা পথ বের করে সমস্যা করবেন ট্রাম্প। আমার মতে, মেলানিয়া সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাবেন ঠিক তখন মেলেনিয়া পদক্ষেপ নেবেন।’ ৫০ বছর বয়সী মেলানিয়ার ভয় কিসে সে বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন লেখিকা ওমারোসা।১৯৭০ সালে মেলানিয়ার জন্ম স্লোভেনিয়ায়। মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৯৯৬ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমে এইচ-ওয়ান বি ওয়ার্ক ভিসায় দেশটি আসেন। এরপর ২০০০ সালে স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করেন তিনি।
এর পাঁচ বছর পর ২০০৫ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ে হয় মেলানিয়ার।বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্ত্রীর নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি ট্রাম্পের কাছে পরিষ্কার। এখন মেলানিয়া বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলে সেই অস্ত্রই প্রয়োগ করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে ফার্স্ট লেডির বিবাহ বিচ্ছেদের কারণটা কি তা স্পষ্ট করা হয়নি বইটিতে।
২০১৮ সালে প্রকাশ পাওয়া বইটির এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক সুপার মডেল মেলানিয়া। নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বইতে মনগড়া কথা লিখেছেন ওমারোসা, বলে দাবি করেছেন ট্রাম্পের স্ত্রী।
ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওমারোসা হোয়াইট হাউজের কর্মী ছিলেন ঠিকই তবে মেলানিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি বললেই চলে। তাই ট্রাম্প-মেলেনিয়ার দাম্পত্য জীবন নিয়ে যা বইতে লিখা হয়েছে সবটাই অবাস্তব।
১৯৭৭ সালে ইভানা জেলনিকোভার সঙ্গে বিয়ে হয় ট্রাম্পের। সত্তরের দশকের এই মডেলের সঙ্গে ঘর ভাঙে ১৯৯২ সালে। পরের বছর অভিনেত্রী মারলা মেপলসের সঙ্গে বিয়ে করেন ট্রাম্প। নয় বছর পর এই সংসারটিও ভেঙে যায়। সব শেষ ২০০৫ সারে মেলানিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
একবছর পর মেলানিয়ার কোলজুড়ে জন্ম নেয় ছেলে সন্তান ব্যারন ট্রাম্প।ব্যারন ছাড়াও আগের দুই ঘরে আরও চার সন্তান রয়েছে ট্রাম্পের। এর মধ্যে ইভানার সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিক। মারলার ঘরে জন্ম নেন ট্যাফিনি।