পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যাচেষ্টা মামলায় উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজের ভাতিজা এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লাসহ চারজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) মামলার ১০ আসামি পটুয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত চারজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন এবং ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (এপিপি) বশিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারকে হত্যা চেষ্টায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ গ্রুপের সমর্থকরা।
কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় গত ২ এপ্রিল বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে আ স ম ফিরোজ এমপি’র ভাতিজা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ ওরফে মনির মোল্লা এবং ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লাসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ০৩ তারিখ- ০২/০৪/২০২৩।
উক্ত মামলা ১৪ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে কয়েক সপ্তাহের আগাম জামিন গ্রহণ করেন। জামিনে মেয়াদ শেষ হলে বুধবার ১০ জন আসামি পটুয়াখালী চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
এসময় আদালতের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লা, সফি হাওলাদার, মাসুম বিল্লাহ লিমন ও মো. মোহনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন এবং ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির মোল্লা, পঙ্কজ দাস, রাজিব দাস, সজিব দাস, মো. সোহেল ও মো. আরিফের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। পৃথকভাবে এসব গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধার সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার।