লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহত ।।আহত ১১

লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। দেশটির মিজদা শহরে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।


লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এস কে সেকেন্দার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সেখানে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে দুপক্ষের যুদ্ধ চলমান। দুপক্ষের ফ্রন্ট-লাইনে পড়েছে এই মিজদাহ শহর।  ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তারা মিলিশিয়া এবং মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি।

এখন এটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল হতে পারে আবার প্রতিশোধমূলক হত্যাও হতে পারে। আমরা আন-অফিশিয়ালি ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ১২ জন আহত হওয়ার খবর জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমরা এখানকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারবাল নোট দিয়েছি। তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে। এখন তাদের লিখিতভাবে জানাবো। ত্রিপোলি থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরে মিজদা শহরে বৃহস্পতিবার সকালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, দূতাবাস বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। 
মিজদাতে প্রচণ্ড যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আহত ১২ অথবা ১৩ জনকে পার্শ্ববর্তী জিসতান শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমরা আহত বাংলাদেশিদের ত্রিপোলি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি তারা শিগগিরই এখানে চলে আসতে পারবেন। বিদেশি কূটনীতিকদের ত্রিপোলি শহর ত্যাগ করার বিষয়ে বিধিনিষেধ আছে জানিয়ে এস কে সেকেন্দার আলী বলেন, আমি একটি টিম হাসপাতালে পাঠিয়েছি এবং তারা ফেরত এলে  বিস্তারিত জানা যাবে।


এদিকে ঢাকা থেকে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে ২৬ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ওই বাংলাদেশিদের আটকে রাখা হয়েছিল অর্থের জন্য। এক পর্যায়ে ওই দলের একজনের সঙ্গে হাতাহাতি হলে ওই পাচারকারী মারা যায়। এর প্রতিশোধ হিসাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে বলে জানান তিনি। অন্য দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা বলতে পারবোনা। আমরা শুধু বাংলাদেশিদের তথ্য পেয়েছি।

এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় মোট ৩০ জন নিহত হয়েছে। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি ও চারজন আফ্রিকান অভিবাসী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।